Header Ads

Header ADS

সংখ্যা পদ্ধতি ।

 

সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক কিংবা সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় অংক। অংক হচ্ছে সংখ্যা তৈরির ক্ষুদ্রতম একক। নির্দিষ্ট নিয়মে কিছু সংখ্যক অংক পাশাপাশি সাজিয়ে কোন সংখ্যা প্রকাশের পদ্ধতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) বলে। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯) দশটি চিহ্ন বা প্রতীক-ই একেকটি অংক। যেমন- ১৯৮০ সংখ্যাটি ১, ৯, ৮ এবং ০ এই চারটি আলাদা অংকের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। 

সংখ্যা পদ্ধতি প্রকার

সংখ্যা পদ্ধতি দুই প্রকার। যথা - 

ক) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (স্থানিক/অবস্থানমূলক সংখ্যা পদ্ধতি)

খ) নন-পজিশনাল সংখ্যা (অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি)


ক) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (স্থানিক/অবস্থানমূলক সংখ্যা পদ্ধতি)

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে গণনার সময় অঙ্কের মান বিবেচনা না করে অঙ্কের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে মান নির্ধারণ করা হয় তাকে পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। 

উদাহরণস্বরূপঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির কথা বলা যেতে পারে। এখানে ১২৩ এই সংখ্যাটিতে তিনটি অংক আছে। ১-এর অবস্থান শতকের ঘরে তাই এর মান হলো (১ × ১০০) বা ১০০, ২-এর অবস্থান দশকের ঘরে তাই এর মান হলো (২ × ১০) বা ২০ এবং ৩-এর অবস্থান এককের ঘরে তাই এর মান হলো (৩ × ১) বা ৩। এখানে অঙ্কটি কোন ঘরে অবস্থান করছে তার উপর ভিত্তি করে মান নিরূপিত হচ্ছে। 

খ) নন-পজিশনাল সংখ্যা (অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি)

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে গণনার সময় অঙ্কের মান বিবেচনা করা হয় অঙ্কের অবস্থান বিবেচনা করা হয় না তাকে নন-পজিশনাল বা অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অর্থাৎ গণনা করার সময় সংখ্যার মান বা তার চিহ্নের (অঙ্কের) উপর নির্ভর করে, সেই প্রকার সংখ্যা পদ্ধতিকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।

উদাহরণস্বরূপঃ রোমান সংখ্যা পদ্ধতির কথা বলা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে V-এর মান সবসময়ই ৫, VI-এর মান (৫+১) বা ৬ এবং IV-এর মান (৫-১) বা ৪ । পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি হলে মান হতো যথাক্রমে V (৫ × ১) = ৫, VI (৫ × ১০ + ১ × ১ ) = ৫১ এবং IV (১ × ১০ + ৫ × ১ ) = ১৫।   

No comments

Powered by Blogger.