নতুন কিছু প্রযুক্তি যা আমাদের ভবিষ্যৎ গঠন করবে
AI হলো একটি অটোমেশন এবং মেশিন লার্নিং এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন কাজ করার সময় যে আচরণ করি এইগুলো মেশিন পর্যবেক্ষণ করে এবং এইগুলো সে শিখে নেয়। ফলে কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার বা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো AI এর পক্ষে সনাক্ত করা এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ হওয়ার পূর্বেই তা চিহ্নিত করতে এবং আমাদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করতে পারবে।
AI বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাই বলি না কেন? একে আধুনিক বা অনন্য কোনো ধারণা বলা যায় না, কেননা আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে থেকেই এই ধারণার উপর কাজ করা শুরু হয়েছে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের দৈনন্দিন কার্যাবলি পরিচালনায় AI-কে ব্যবহারও করছে। তবুও AI উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে এর ব্যয়। ২০২৩ বা পরবর্তি বছরগুলোতে আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে এই প্রযুক্তি ব্যয় কিভাবে কমানো সম্ভব হয় তা নিজে কাজ করা।
এখন একটা প্রশ্ন মনে আসতে পারে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা শিল্পই কি AI গ্রহণ করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে? এক কথায় এর উত্তর হলো “না”। কেননা মেডিকেয়ার প্রতিষ্ঠান গুলো AI-তে দীর্ঘদিন যাবৎ বিনিয়োগ করছে এর ফলে নিউরো-ল্যাংগুইসটিক প্রোগামিং (Neuro-Linguistic Programming) , জৈবপ্রযুক্তি (Biotechnology) এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক (Neural Networks) (মানুষের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে একটি কম্পিউটার সিস্টেম) আবিস্কৃত হয়েছে যা শুধু মানবকল্যাণেই নয় শ্রম বাজারকেও প্রসারিত করেছে। পরিবহন এবং লজিস্টিকসের ক্ষেত্রেও AI-এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
ব্লক চেইন (Blockchain)
“ব্লক চেইন” বলার সাথে সাথেই যে কথাটি মনে উকি দেয়, এটা কি “বিটকয়েন”। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন প্রথমবারের মতো ব্লকচেইন প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করলো ব্যাপারটা ছিল বেশ অবাক করা মতো, কেননা ব্লকচেইন ছিলো বিটকয়েনের চেয়ে ভিন্ন।
ব্লকচেইন হলো একটি ডিস্টিবিউটেড ডেটাবেস বা লেজার যা একই নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন কম্পিউটার নোডে শেয়ার করা হয়। ব্লকচেইন যেহেতু একটি ডেটাবেস, তাই লেনদেনের সকল তথ্য ইলেক্ট্রনিকভাবে ডিজিটাল ফরমেটে সংরক্ষিত হয়। ব্লকচেইন ক্রিপ্টোকারেন্সি সিস্টেমে (যেমন-বিটকয়েন) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে, এটি লেনদেনের তথ্য নিরাপদ এবং বিকেন্দ্রীকৃত করে সংরক্ষণ করে। প্রতিটি লেজারে ডেটার একটি ভগ্নাংশ থাকে, ফলে কেউ যদি অযাচিতভাবে কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে তাহলে তারা সেখানে অর্থপূর্ণ কিছুই খুঁজে পাবে না।
ব্লকচেইন আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। আমরা এখন ডিজিটালাইজড একটি বিশ্বে বসবাস করছি, যেখানে সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় কেননা ডেটা ফাঁস হওয়া বা চুরি যাওয়ার সংবাদ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্লকচেইন জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি হিসেবে আর্বিভূত হতে পারে। ব্লকচেইন থেকে আরো বিভিন্নক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যেতে পারে- খাদ্যশিল্প, ভোটে কারচুপির ঝুঁকি হ্রাস করতে। ব্লকচেইন আরো অনেক সুবিধার এবং নিরপত্তার দ্বার উন্মোচিত করতে পারে।
বিস্তারিত আসেছে.................
No comments