Header Ads

Header ADS

চ্যাটজিপিটি-র কাস্টমাইজ ব্যবহার


চ্যাটজিপিটির পুরো নাম হচ্ছে, চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি অ্যাপলিকেশন যাকে বলা হয় ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস’।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি স্টার্টআপ কোম্পানি ওপেন এআই (OpenAI) ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে চ্যাটজিপিটি চালু করার ঘোষণা দেয়। এর সর্বশেষ সংস্করণটি প্রকাশিত হয় গত বৃহস্পতিবার। এই সংস্করণটি প্রকাশ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে মানুষের উদ্বেগ সমাধানের অংশ হিসেবে। এখন থেকে একজন ব্যবহারকারী তার নিজের মতো করে চ্যাটজিপিটি কাস্টমাইজ করে নিতে পারবে।

চ্যাটজিপিটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলাপচারিতা করার অ্যাপ্লিকেশন বা চ্যাটবট সিস্টেম। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটে যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলোই এর তথ্য ভান্ডার হিসেবে কাজ করে। চ্যাটবটটি তার তথ্য ভান্ডারে থাকা নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে লিখিত প্রশ্নের জবাব নিয়ে হাজির হয়। মজার বিষয় হলো যেভাবেই তার কাছে উত্তর চাওয়া হোক না কেন?, সে অনেকটা প্রশ্নকারীর চাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই উত্তর দিয়ে থাকে। উত্তর চাওয়ার ক্ষেত্রে যত কাস্টমাইজেশন করা হয় তার জবাব তেমনি ভাবে উপস্থাপন করে।

চ্যাটবটটিতে আরো বৈচিত্র্য আনার জন্য কাজ করছে ওপেনএআই। রাজনৈতিক ও পক্ষপাতমূলক আচরণ কমানোর জন্য চ্যাটবটটিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ সংস্করণ উন্মুক্ত করার পর থেকে ব্যবহারকারী নিজের চাহিদা অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারবে।

চ্যাটজিপিটি এমনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যা মানুষ আগে কখনো ভাবতেই পারেনি। আর এ কারণেই চ্যাটজিপিটি নিয়ে মানুষের মধ্যে এতা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। 

অনেকেই একে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করলেও, এখনো চ্যাটজিপিটির অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আগামী সংস্করণগুলোতে আমরা হয়তো আরো নতুন ও উন্নত সংস্করণ দেখতে পাবো।

No comments

Powered by Blogger.